Jokes of Mollah Nasiruddin Hojja in Bangla
Saturday, January 04, 2020
শুভ সালাতিন
, Posted in
hojja nasiruddin jokes
,
molla nasiruddin hojja bangla
,
0 Comments
মোল্লা নাসিরউদ্দিন হোজ্জা
সাদা চুল
মোল্লার যখন বয়স ছয় কি সাত,তখন নিজের কালো চুল দেখিয়ে আগ্রহে বাবাকে প্রশ্ন করেছিল,
‘ বাবা,তোমার মাথার চুল সাদা অথচ আমার মাথার চুল কালো। কারণটা কি?’
‘শোন, ছোটরা তাদের বাবাদের এই সব আজগুবি প্রশ্ন করে, আর এই সব প্রশ্নের উওর দিতে দিতে মাথার চুল সাদা হয়ে যায়’।
‘ও তাই বলো’, মোল্লা বলেন,-‘তাই তোমার বাবার চুলও ধবধবে সাদা।-তাই না?’
মোল্লা দরবারে সকাল সকাল এলো। বাদশাহ বেজায় খুশি। ‘ও মোল্লা, মনে মনে তোমাকেই খুঁজছিলাম আমি। কাল রাতে একটা মজার স্বপ্ন দেখলাম তোমাকে নিয়ে। তুমি আর আমি বাগানে পাশাপাশি হাঁটছি। আমার চিড়িয়াখানা থেকে একটা বাঘ ডেকে উঠলো। দুজনেই চমকে উঠলাম,আমি পড়ে গেলাম ক্ষিরের পুকুরে আর তুমি পড়ে গেলে গুয়ের পুকুরে। তারপরেই ঘুম ভেঙে গেল’।
গল্পটা শুনে দরবারের সবাই মুখ টিপে হাসতে লাগলো। বাদশাহ বেশ জব্দ করেছে মোল্লাকে।
মোল্লা ঘাবড়ে যাওয়ার পাত্র নয়। মোল্লা বললেন,‘হুজুর, কি অদ্ভুত ব্যাপার বলুন দেখি, আমিও তো কাল রাতে ঠিক এরকম একটি স্বপ্ন দেখলাম। তবে আপনার ঘুমটা ভেঙে যাওয়ার পরেও আমি স্বপ্ন দেখতে থাকলাম’।
‘তাই নাকি? তাহলে তুমি গুয়েরর পুকুরে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছিলে?’
‘নিশ্চয়ই জাঁহাপনা, মোল্লা বলে চলেন,‘এখন শুনুন, আমি কোনমতে গুময় দেহ নিয়ে পাড়ে উঠলাম। এমন সময় দেখি, হুজুর ক্ষিরের পুকুরে পড়ে সাঁতার না জানার ফলে হাবুডুবু খেতে খেতে বহু কষ্টে পাড়ে উঠেছেন। অধিক পরিশ্রমে আপনার খুব তেষ্টা পেয়েছে। তাই পানির তেষ্টায় আপনি আমার গা চেটে সাফ করলেন আর পরিশ্রমের ফলে আমারও পানির তেষ্টা পেয়েছিল, আমি আপনার গা চাটতে লাগলাম। তারপরই ঘুম ভেঙে গেল।
একদিন নাসিরউদ্দিন হোজ্জা একটি মিষ্টির দোকানের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন।
হঠাৎ মিষ্টির দিকে চোখ পড়াতে তার খেতে ইচ্ছে হলেও টাকা না থাকায় শুধু মিষ্টির ঘ্রাণ নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন।
কিন্তু দায় সাধল দোকানদার। তিনি মিষ্টির ঘ্রাণ নেওয়াতে হোজ্জার কাছে তার দাম চাইলেন। হোজ্জা পরে দিবেন বলে সেদিনের মত চলে আসলেন।
পরের দিন তিনি কিছু মুদ্রার কয়েন থলেতে নিয়ে তার দোকানে গেলেন এবং ঝাঁকাতে শুরু করলেন।
দোকারদার বললেন দাও আমার টাকা দাও।
হোজ্জা উত্তরে বললেন টাকার ঝনঝনানি শুনতে পাচ্ছেন না? দোকারনদার বললেন হ্যাঁ শুনতে পাচ্ছি। হোজ্জা বললেন তো শোধ হয়ে গেল।
মোল্লা’র স্ত্রীও অনেকদিন গোশত খায়নি। তাই রান্নার পর একটু একটু করে খেতে খেতে সবটা গোশতই খেয়ে ফেলল।
নাসিরউদ্দিন অবাক হয়ে বলল: পুরো এক সের গোশতই বিড়াল খেয়ে ফেলল?’
জি বলল: তাহলে আমি বলছি কি!
স্ত্রীর কথা মোটেই বিশ্বাস করল না মোল্লা। তখনই বিড়ালটাকে দাঁড়িপাল্লায় ওজন করে দেখল ওজন ঠিক এক সের।
গা চাটাচাটি
মোল্লা দরবারে সকাল সকাল এলো। বাদশাহ বেজায় খুশি। ‘ও মোল্লা, মনে মনে তোমাকেই খুঁজছিলাম আমি। কাল রাতে একটা মজার স্বপ্ন দেখলাম তোমাকে নিয়ে। তুমি আর আমি বাগানে পাশাপাশি হাঁটছি। আমার চিড়িয়াখানা থেকে একটা বাঘ ডেকে উঠলো। দুজনেই চমকে উঠলাম,আমি পড়ে গেলাম ক্ষিরের পুকুরে আর তুমি পড়ে গেলে গুয়ের পুকুরে। তারপরেই ঘুম ভেঙে গেল’।
গল্পটা শুনে দরবারের সবাই মুখ টিপে হাসতে লাগলো। বাদশাহ বেশ জব্দ করেছে মোল্লাকে।
মোল্লা ঘাবড়ে যাওয়ার পাত্র নয়। মোল্লা বললেন,‘হুজুর, কি অদ্ভুত ব্যাপার বলুন দেখি, আমিও তো কাল রাতে ঠিক এরকম একটি স্বপ্ন দেখলাম। তবে আপনার ঘুমটা ভেঙে যাওয়ার পরেও আমি স্বপ্ন দেখতে থাকলাম’।
‘তাই নাকি? তাহলে তুমি গুয়েরর পুকুরে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছিলে?’
‘নিশ্চয়ই জাঁহাপনা, মোল্লা বলে চলেন,‘এখন শুনুন, আমি কোনমতে গুময় দেহ নিয়ে পাড়ে উঠলাম। এমন সময় দেখি, হুজুর ক্ষিরের পুকুরে পড়ে সাঁতার না জানার ফলে হাবুডুবু খেতে খেতে বহু কষ্টে পাড়ে উঠেছেন। অধিক পরিশ্রমে আপনার খুব তেষ্টা পেয়েছে। তাই পানির তেষ্টায় আপনি আমার গা চেটে সাফ করলেন আর পরিশ্রমের ফলে আমারও পানির তেষ্টা পেয়েছিল, আমি আপনার গা চাটতে লাগলাম। তারপরই ঘুম ভেঙে গেল।
শোধ
একদিন নাসিরউদ্দিন হোজ্জা একটি মিষ্টির দোকানের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন।
হঠাৎ মিষ্টির দিকে চোখ পড়াতে তার খেতে ইচ্ছে হলেও টাকা না থাকায় শুধু মিষ্টির ঘ্রাণ নিয়ে চলে যাচ্ছিলেন।
কিন্তু দায় সাধল দোকানদার। তিনি মিষ্টির ঘ্রাণ নেওয়াতে হোজ্জার কাছে তার দাম চাইলেন। হোজ্জা পরে দিবেন বলে সেদিনের মত চলে আসলেন।
পরের দিন তিনি কিছু মুদ্রার কয়েন থলেতে নিয়ে তার দোকানে গেলেন এবং ঝাঁকাতে শুরু করলেন।
দোকারদার বললেন দাও আমার টাকা দাও।
হোজ্জা উত্তরে বললেন টাকার ঝনঝনানি শুনতে পাচ্ছেন না? দোকারনদার বললেন হ্যাঁ শুনতে পাচ্ছি। হোজ্জা বললেন তো শোধ হয়ে গেল।
বেড়ালটা গেল কোথায়?
মোল্লা নাসিরউদ্দিন একবার বাজার থেকে খাসির গোশত কিনে আনলেন। স্ত্রীর হাতে
দিয়ে বললেন,”অনেকদিন গোশত খাইনি। ভালো করে রাঁধো যেন খেয়ে মজা পাই।”
মোল্লা’র স্ত্রীও অনেকদিন গোশত খায়নি। তাই রান্নার পর একটু একটু করে খেতে খেতে সবটা গোশতই খেয়ে ফেলল।
মোল্লা খেতে বসলে তাঁর স্ত্রী মুখ কাঁচুমাচু
করে বললেন, “আজ আর তোমার বরাতে গোশত নাই, সব গোশত বিড়ালে খেয়ে ফেলেছে।”
নাসিরউদ্দিন অবাক হয়ে বলল: পুরো এক সের গোশতই বিড়াল খেয়ে ফেলল?’
জি বলল: তাহলে আমি বলছি কি!
স্ত্রীর কথা মোটেই বিশ্বাস করল না মোল্লা। তখনই বিড়ালটাকে দাঁড়িপাল্লায় ওজন করে দেখল ওজন ঠিক এক সের।
মোল্লা বলল,’এটাই যদি সেই বেড়াল হয়,
তাহলে গোশত কোথায়? আর এটা যদি গোশতের ওজন হয় তাহলে বেড়ালটা গেল কোথায়?’
অভদ্র ও নির্লজ্জ লোক
হোজ্জা তাঁর বন্ধুকে চিঠি লিখছিলেন। একজন উৎসুক প্রতিবেশী চুপিচুপি হোজ্জার পেছনে এসে চিঠিতে কী লেখা হচ্ছে, তা পড়তে থাকে।
এদিকে হোজ্জার সামনে ছিল একটা আয়না। ওই আয়নাতেই হোজ্জা লোকটাকে দেখতে
পেলেন। তিনি পুরো ব্যাপারটা পাত্তা না দিয়ে চিঠি লিখতে লাগলেন: “অনেক
কিছুই লেখার ছিল। কিন্তু পারলাম না। ঠিক এই মুহূর্তে একজন অভদ্র ও নির্লজ্জ
লোক আমার পেছনে দাঁড়িয়ে চিঠি পড়ছে—”
লোকটা রেগেমেগে অভিযোগ
করল, “হোজ্জা, আপনি এসব কী লিখছেন? আমি কখন আপনার পেছনে দাঁড়িয়ে চিঠি
পড়েছি?”
জবাবে হোজ্জা বললেন, “তুমি যদি আমার পেছনে দাঁড়িয়ে চিঠি না
পড়তে, তাহলে জানলে কী করে চিঠিতে আমি কী লিখেছি?”
0 Response to "Jokes of Mollah Nasiruddin Hojja in Bangla"
Post a Comment